করিমগঞ্জ, মে ৯ (এস এম জাহির আব্বাস) :- বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের বিজেপি সরকারের আমলে নুন্যতম উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে কষ্টের জীবন অতিবাহিত করছেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দুব পালের নির্বাচনীয় কেন্দ্রের পাথারকান্দির লোয়াইরপোয়া ব্লকের ডেঙ্গারবন্দ জিপির সলগই আট নং লাইনের লাগোয়া খাসিয়া পুঞ্জির বাসিন্দারা।সলগই নাচঘর সংলগ্ন অসম ত্রিপুরা আট নং জাতিয় সড়ক থেকে পশ্চিম প্রান্তে চা বাগানের বাঁকা পথ ধরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার জায়গা পেরিয়ে পুঞ্জির মুল প্রবেশ পথে পৌঁছতে হয়।
পরে প্রবেশদ্বার থেকে আঁকা বাঁকা টিলা ভুমির পথ পেরিয়ে আরও প্রায় সাতশ মিটার দূর্গম পথ অতিক্ৰম করে খাসিয়া জনজাতি লোকদের বসতি পুঞ্জিতে যেতে হয়।এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ কর্মীরা এই পুঞ্জিতে পৌছলে পুঞ্জির হেডম্যান এসি খংকাই তাদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে জানান দীর্ঘ পনেরো বছর থেকে এখানে পঁচিশটি পরিবার বসবাস করছেন।পূর্বে তারা রাতাবাড়ি বিধানসভার নিভিয়া ছেরাগিতে ছিলেন।সেখানে জুম চাষের উপযুক্ত জমি কমে যাওয়াতে পরে তারা বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে এখানে এসে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করেন।কিন্তু এখানে আসার পরও তাদের ভাগ্যের বিড়ম্বনা আজও কাটেনি।তারা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।তাদের পুঞ্জিতে নেই বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ।নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের সুব্যবস্থা।
এছাড়া পুঞ্জি থেকে বের হবার যাতায়াত ব্যবস্থাও তেমন সুবিধা জনক নয়।এতে তারা বছরের পর বছর এমন দুর্বিসহ সমস্যায় ভোগছেন।বিষয়টি বার কয়েক স্থানীয় নেতা সহ বিধায়কের নজরে আনা হলেও সমস্যা আজও তিমিরে।জলন্ত সমস্যা সমাদানে আজ অবধি সরকারি আধিকারিক বা জন প্রতিনিধিরা কেহন এগিয়ে আসেননি। মোট কথা সৃষ্টি সমস্যা সমাধনে কাহরো আন্তরিকতা নেই।ফলে প্রতি বছর নিজেরা নিজেদের মধ্যে থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে চলাচলের
গ্রামের সড়ক পথটি মেরামত করে আসছেন।সম্প্রতি তারা নিজে থেকে সংগ্রহ করে এক লক্ষ টাকা খরছ করে একটি পাঁকা সেতু নির্মাণ কাজ সুরু করে ছিলেন তবে বর্তমানে তারা আর নিজেরা অর্থ ব্যয় করতে পারছেন না ফলে সেতু নির্মাণ কাজটি অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এতে প্রতিনিয়ত নানা দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। এদিন পুঞ্জির বাসিন্দা পসমিশন আমসে বলেন তাদের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে এক মাত্র পান চাষ।কিন্তু বর্ষার মরশুম থাকায় বহন করে পায়ে হেটে বিক্রির জন্য পান বাজারে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বেহাল
যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য।কেননা কাঁদায় টুই টুম্বুর থাকায় এই দীর্ঘ পথ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে না।এছাড়াও কোনো মুমর্ষ রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাস্পাতালের নিয়ে যেতে হলে চাং দোলা করে নিয়ে যেতে হয়।এদিন উক্ত পুঞ্জির বাসিন্দা সুখী ওরাং সাইনিং লাংবাং বান্তে মালাং সবাই তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা শাসক মৃদুল যাদব সহ বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।উল্লেখ্য এদিন ওই এলাকার স্কুল পড়ুয়া লেডিস পকলু আমব্রস পকলু সইয়ন পকলু রোনাল্ড লাংবাংরা প্রমুখরা জানান আজকের দিনে তারা বিদ্যুৎতিক আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তাদের গ্রামে আজও বিদ্যুতের সংযোগ না দেওয়াতে তাদের সাধারন জীবন ধারন সহ স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
অথচ দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামজ্যোতি যোজনায় নরেন্দ্র মোদী সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতির উপর ভর করে দু হাজার পনেরো সনের পঁচিশ জুলাই তারিখে গরিব জনগনের জন্য গ্রামজ্যোতি যোজনা চালু করলেও এসবের সুযোগ সুবিধে থেকে তারা আজও বঞ্চিত।বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাদের অভাব অভিযোগ দুর করতে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল সহ করিমগঞ্জের জেলা শাসক মৃদুল কুমার যাদবের ও বিধায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply